হোম জাতীয় শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের প্লট দুর্নীতির মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের প্লট দুর্নীতির মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 32 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জন আসামির বিরুদ্ধে করা পৃথক তিনটি মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আগামী ২৭ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেন।

দুদকের প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পৃথক এই তিন মামলায় ৪৭ জন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বিচারিক আদালত আগামী ২৭ তারিখ ধার্য করেছেন। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলাগুলোতে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

শুনানিকালে গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামি রাজউকের সদস্য খোরশেদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম। তিনি আসামিকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে মামলার অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ ছিল না।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর পৃথক এই তিন মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেন আদালত। গত ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২০ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত তিনটি করে মোট ছয়টি মামলা দুটি বিশেষ জজ আদালতে (৪ ও ৫ নম্বর) বিচারের জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

পৃথক তিনটি মামলায় আসামিদের বিন্যাস করা হয়েছে এভাবে—শেখ হাসিনা ও সাবেক সিনিয়র সচিব পূরবী গোলদারসহ ১২ জন; শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং শেখ হাসিনা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—শেখ রেহানা ও তার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।

কর্মকর্তাদের মধ্যে আসামির তালিকায় রয়েছেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান।

এ ছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন