হোম অন্যান্য শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ আসামিসহ সবাই খালাস

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 13 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত থেকে খালাস পাওয়া ৯ আসামি হলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য মোখলেছুর রহমান ওরফে বাবলু; ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে এম আক্তারুজ্জামান; ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া পিন্টু ওরফে পিন্টু পিতা আব্দুস সামাদ মৃধা; ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম; সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম ওরফে শাহীন; ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অটল; ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের বর্তমানে সভাপতি আজিজুল রহমান শাহীন; ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্যামল এবং ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ওরফে পলাশ।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপসা এক্সপ্রেস’ ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন।

পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচ জন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন