হোম অন্যান্যশিক্ষা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে টিয়ারশেল নিক্ষেপ, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে টিয়ারশেল নিক্ষেপ, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 7 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। বেলা সোয়া ৫টায় সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেটের রাস্তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ঠিক কী নিয়ে এ সংঘর্ষ বেধেছে, সে বিষয়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকালে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। এছাড়া দুপুরে ঢাকা কলেজের একটি বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা একটি বাস ভাঙচুর করেন। এর পরপরই সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে, শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও পাশেই সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের।

এর আগে, ২৮ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান নানা স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। সেজন্য এসব বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। সেই ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ রাখার পর ১৯ নভেম্বর কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন