হোম অন্যান্যশিক্ষা শিক্ষার্থীদের দাম নির্ধারণ: তিন দিন ধরে বন্ধ খুবির হলসংলগ্ন খাবারের হোটেল

শিক্ষার্থীদের দাম নির্ধারণ: তিন দিন ধরে বন্ধ খুবির হলসংলগ্ন খাবারের হোটেল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 96 ভিউজ

শিক্ষা ডেস্ক:

টানা তৃতীয় দিনের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সামনের সব খাবার দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছেন হোটেল মালিকরা। শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেয়া দামে খাবার বিক্রি করে আর্থিক ক্ষতি হবে জানিয়ে তারা হোটেল বন্ধ রেখেছেন। এতে খাবার নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সামনে থাকা সারি সারি খাবারের হোটেলে তালা ঝুলছে। মঙ্গলবার থেকে হোটেলগুলো বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ।

জানা গেছে, ১০ থেকে ১২ দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম কমানোর দাবি নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুপক্ষের সমঝোতায় সব খাবারের দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। তবে গত রোববার সেই সিদ্ধান্ত ভেঙে কিছু শিক্ষার্থী দাম আরও কমিয়ে নতুন তালিকা হোটেলগুলোতে টানিয়ে দেন। এরপর থেকেই ১০ থেকে ১২টি খাবার দোকান বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুদিন ধরে ভাতের হোটেল বন্ধ থাকায় আমি কলা-রুটি খেয়ে আছি। এভাবে হোটেলগুলো বন্ধ থাকলে খাবার নিয়ে আমাদের কষ্ট আরও বাড়বে। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বা ক্যান্টিনে যে দামে খাবার বিক্রি হয়, বাইরের হোটেলগুলোতে তার থেকেও অনেক বেশি দামে খাবার বিক্রি হয়, যেটা ছাত্রদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। ফলে ছাত্রদের পক্ষে আমরা হোটেল মালিকদের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্তু সেটা তারা না মেনে হোটেল বন্ধ রেখেছে। আমরা যে দাম নির্ধারণ করেছি, সেটা যদি তাদের পছন্দ না হয়, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। আমরা হোটেল মালিকদের কাছে জিম্মি থাকতে চাই না। তারা যদি আমাদের নির্ধারিত দামে খাবার বিক্রি না করে তাহলে আমরা তাদের হোটেল খুলতে দেব না।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের নির্ধারণ করা দামে খাবার বিক্রি করলে আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই দোকান বন্ধ রেখেছেন তারা।

স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। খাবার যে দামে বিক্রি করি, তাতেই আমাদের লোকসান হয়। এরপর আরও দাম কমালে আমাদের পথে বসতে হবে। আর আমাদের দামে তাদের খাবার কিনতে অসুবিধা হলে, আমাদের কাছে না খেতে পারে। আমাদের ওপর দাম চাপিয়ে দিতে পারে না। আমরা তাই ঝামেলা এড়াতে দোকান বন্ধ রেখেছি।’

হোটেল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবার সংকট দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বাড়তি খাবার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানায় তারা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত দুদিন একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম চলায় উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে দ্রুতই আমরা শিক্ষার্থী ও হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান করে দেব।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন ছাত্রাবাসে তিন থেকে চার হাজার শিক্ষার্থী বসবাস করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন