হোম জাতীয় শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমির দলিল বাতিলের রায় পেছাল

জাতীয় ডেস্ক :

চাঁদপুর জেলার হাইমচরের মেঘনার দুর্গমচরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপুর জমি ক্রয়ের দলিল বাতিলের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দায়ের করা মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে চাঁদপুর সদরের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের আদালতে মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল।

এ সময় আদালতে এ মামলার প্রতিপক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর বড় ভাইসহ ২৫ জনের পক্ষে আইনজীবীরা জেলা প্রশাসকের অভিযোগের জবাব দেন।

আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক আগামী এ মামলার পরবর্তী তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৮ এপ্রিল হাইমচর উপজেলার মেঘনার পশ্চিমপাড়ে দুর্গমচরে সরকারি খাস দাবি করে ৪৮ একর জমির দলিল বাতিল চেয়ে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি আবেদন করেন।

জেলা প্রশাসকের অভিযোগ ছিল সোনাপুর-তাজপুর প্রকাশ্যে বাহেরচর বিগত ১৯৫০ সালে মেঘনার বুকে চর জেগে ওঠে। যা পরে পয়স্তি জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়।

এ সময় সরকারের খাস জমি হওয়ায় তা এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। চরের এসব জমি কতিপয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্রয় করেন ডা. জাওয়াদুর রহিম টিপু। সুতরাং সরকারি জমি উদ্ধারে দলিল বাতিলের আবেদন জানিয়ে আদালতে এ মামলা করেন জেলা প্রশাসক। এতে শিক্ষামন্ত্রীর বড় ভাইসহ ২৫ জনকে প্রতিপক্ষ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক দেওয়ানী আদালতে এ অভিযোগ করেন। তবে যারা জমি ক্রয় করেছেন। তাদের দাবি ওই চরে প্রায় ৭০০ একরেরও বেশি জমি রয়েছে। তার মধ্য থেকে বিগত ২০১৯ সালে ব্যক্তি মালিকানাধীন চরের বিভিন্নজনের কাছ থেকে নগদ টাকায় দলিল মূল্যে নিষ্কণ্টক জমি ৪৮ একর ক্রয় করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, আশা করছি বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় নেবে। অন্যদিকে, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তি আক্রোশ হয়ে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা। এ সময় মামলাটি নিয়ে তিনি আশাবাদী হলেও সরকারি পক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে চাঁদপুরের বিদায়ী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির অনুসারীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বেশ দূরত্ব ছিল। এরইমধ্যে সেই জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বদলি জনিত কারণে মঙ্গলবারই চাঁদপুর ত্যাগ করেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন