আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কথা না রাখা বা ভুয়া তথ্য দেওয়া- রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরু থেকেই এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ উঠছে। তারা বারবার দাবি করেছিল, দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সবশেষ তারা এও জানায়, পোল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। সেসব দাবি উড়িয়ে দিয়ে বরাবরই ইনস্টাগ্রামে হাজির হন জ়েলেনস্কি।
কিয়েভে নিজের অফিসে বসে ভিডিও করে তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে লেখেন, আমি কিভেই আছি। এখানে বসে কাজ করছি। কেউ কোথাও পালিয়ে যায়নি।
এরপরে আর তাদের মতামত জানায়নি মস্কো। বরং আজ তারা নতুন খবর দিয়েছে। আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী ডেনিস কিরিভকে খুন করা হয়েছে। খবর ছড়িয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে খুন করেছে ইউক্রেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে সুযোগ করে দিতে যে কয়েকটি মানবিক করিডোরের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া, সেগুলো বেলারুশ অথবা রাশিয়ার দিকে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ যে রুটগুলো প্রকাশ করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বেসামরিক বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার এসব পথ হয় বেলারুশ অথবা রাশিয়ার দিকে রয়েছে।
কিয়েভ থেকে বের হওয়ার যে পথ দেখানো হয়েছে, সেটি গেছে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশে। খারকিভ থেকে বের হওয়ার একটি পথ রয়েছে আর সেটি রাশিয়ায় চলে গেছে। তবে মারিউপোল এবং সুমি থেকে বের হওয়ার যে পথগুলো দেখানো হয়েছে, সেসব পথ ইউক্রেনের অন্য শহরের পাশাপাশি রাশিয়ার দিকেও গেছে।
এর আগে বেসামরিক মানুষদের সরে যেতে সুযোগ দেয়ার জন্য ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে সাময়িকভাবে গোলাগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর একটা থেকে) এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমি শহরের জন্য এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই চারটি শহর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি রাশিয়ার হামলার শিকার হচ্ছে।
তবে এই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোন তথ্য জানানো হয়নি।
এ সপ্তাহেই মারিউপোল শহর থেকে বেসামরিক বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে দুই দফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল, যদিও কোনটি কার্যকর হয়নি।