হোম জাতীয় লোহাগড়া পৌরসভা যেন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান, নেই নাগরিক সুবিধা

জাতীয় ডেস্ক :

পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দুই দশক পেরোতে চললেও নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকায় নেই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। রাস্তাঘাটেরও বেহাল অবস্থা। নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী। তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা হওয়ায় সরকারি বরাদ্দ স্বল্পতাই পৌরবাসীর কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বলে জানান নগরপিতা।

২০০৩ সালে স্থাপিত ১৪.৮৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লোহাগড়া পৌরসভার মোট জনসংখ্যা ৪০ হাজার। সুপেয় পানির প্রয়োজনে চাপকলই পৌরবাসীর একমাত্র ভরসা। সামর্থ্যবানরা নিজ উদ্যোগে নলকূপে মোটর বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করতে পারলেও সাধারণ মানুষের দিন শুরু হয় দূরের কোনো চাপকল থেকে সুপেয় পানি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে।

পৌর শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত কচুবাড়িয়া ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির অভাবে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে বলে জানান ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ে সরেজমিন আসা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী।

শুরু থেকেই ভাড়া বাড়িতে চলছে পৌরসভার দাফতরিক কার্যক্রম। আজও নির্মিত হয়নি পৌরভবন। পৌরসভার ব্যস্ততম সড়কগুলো বেহাল দশা। ভাঙাচোরা সংকীর্ণ সড়কে যানজটের পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিতে কাদাজলে মাখামাখি অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন পৌরবাসী। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। এসব নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই স্থানীয়দের।

পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান জানান, মাত্র ১০ মাস দায়িত্ব নিয়ে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ না থাকাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও পৌরবাসীর বিভিন্ন সেবা নিশ্চিতে তিনি সর্বোচ্চ আন্তরিকার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌরবাসীর সহযোগিতা নিয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত আধুনিক পৌরসভা বিনির্মাণে সফল হবেন বলে আশা করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন