প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়াপ্রেমের কথা কারও অজানা নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচেই নজর রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সুযোগ পেলে ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে ছুটে আসেন মাঠে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি। মাঠে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে যেমনটা জানালেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
নিজের ইনিংস গড়ার পথে আগ্রাসী লিটন ইংলিশ পেসার জফরা আর্চারের বল পাঠান সীমানার বাইরে। হাফসেঞ্চুরির পথেও ডানহাতি ব্যাটার হাঁকান পরপর দুই বাউন্ডারি। সে সময় লিটনের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া পুরো ম্যাচেই ক্রিকেটারদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ করেননি। দাপট দেখিয়েই বরং হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। প্রধানমন্ত্রীও ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো দলকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি।
ম্যাচ শেষে নাজমুল হাসান বলেন, ‘একবার না, একাধিক বার ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন কি যখন নাকি লিটন দাস চার-ছয় মারছিল, তখন উনি বলছেন, এত ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যায় যদি! আমি তখন বলছি, আউট হলেও কোনো অসুবিধা নেই, আর কয়েকটা বল বাকি আছে। এই খেলায় মারতেই হবে। খেলার মাঝখানেও ফোন দিয়েছেন তিনি।’
বিসিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘উনি প্রতিটা বল খেলা দেখেছেন। খেলা শেষ হওয়ার পরও ফোন করেছিলেন, আমি বারান্দায় ছিলাম আওয়াজ শুনিনি। ঢুকেই দেখি ওনার মিসড কল, পরে আবার আমি ফোন করেছি। তখন উনি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশি। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার কথা উনি চিন্তাও করতে পারেননি। আসলে আমরাও এটা চিন্তা করতে পারিনি।’