মাগুরা অফিস :
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বসতভিটের জমি নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে বিরোধ। এই বিরোধপূর্ণ জমির লিচু পাড়তে না দেওয়ায় বোন-ভাগ্নের হাতে হামলার শিকার হন মামা কুদ্দুস মোল্যা (৬০)। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামে। মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবার নিশ্চিত করেছে। কুদ্দুস মোল্যা ওই গ্রামের মৃত ছত্তার মোল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কুদ্দুস মোল্যা ও সিদ্দিকুর রহমান কম শক্তিশালি। অন্য ভাই ইদ্রিস মোল্যা ও তিন বোনের স্বামীরা প্রভাবশালি হওয়ায় তারা সবসময় ওই দুই ভাইকে ভিটেছাড়া করতে চায়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মারধর এবং হুমকি ধামকি চলতে থাকে। তাছাড়া আদালতে একাধিক মামলাও হয়। উপায়ান্ত না পেয়ে কুদ্দুস মোল্যা একই গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বাস করতে থাকেন।
নিহতের ভাতিজা জুয়েল রানা বলেন, শুক্রবার দুপুরে ভিটে বাড়ির লিচু গাছের লিচু পাড়তে যায় খুন হওয়া কুদ্দুস মোল্যার বোন কমেলা খাতুন। তাকে কুদ্দুস মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেই। এতে ক্ষুব্ধ হয় বোন-ভাগ্নেরা। পরে তারা ১৫/২০জন সংঘবদ্ধ হয়ে বিকাল পৌণে চারটার দিকে কুদ্দুস মোল্যার বাড়িতে গিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঠেকাতে গেলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় কুদ্দুস মোল্যাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে তার মৃত্যুর খবর আসে।
আহত অন্তসত্তা সুইটি সুলতানা (২৬), নাদিমা (৩৫) ও জুয়েল রানা (৩৫) কে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সরেজমিনে গেলে জানা যায়, কুদ্দুস মোল্যার নিহতের খবরে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। শিশু ও বয়ষ্ক মহিলারা বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।