হোম এক্সক্লুসিভ লিখিততে ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায় নাম!

জাতীয় ডেস্ক:

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও এক চাকরি প্রার্থীর ঠাঁই হয়েছে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। লিখিত পরীক্ষায় পাস না করা প্রার্থীর রোল নম্বরও দেখা গেছে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফলে (লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়)। তবে বিষয়টিকে ‘মুদ্রণ ভুল’ বলছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জেলা পরিষদ কর্তৃক ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ১২৪৯ জন পরীক্ষার্থীকে পাস দেখানো হয়। ওই ফলাফল তালিকায় ৭৭১ ক্রমিক নম্বর ছিল না। তবে ৬ অক্টোবর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়, ৭৭১ নম্বর ক্রমিক রয়েছে। অর্থাৎ ৭৭১ নম্বর ক্রমিকধারী প্রার্থী নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল থেকে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হন ৩৩৭ জন। লিখিত পরীক্ষার তালিকায় না থাকা প্রার্থীর রোল নম্বর (৭৭১) কীভাবে চূড়ান্ত ফলাফলে আসলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এ ক্রমিকের প্রার্থীর নাম ও ঠিকানা এখনো জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, ‘নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। প্রথমত, ২৫৭ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ৩৩৭ জনকে। লিখিত পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ উত্তরপত্রে। যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাননি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। তাছাড়া ক্রমিক অনুসারে কখনো ফলাফল ঘোষণা হয় না, ঘোষণা করা হয় মেধাক্রম অনুসারে এবং নাম প্রকাশের মাধ্যমে, কিন্তু তা করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘুষ ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার উদাহরণ ৭৭১ নম্বর ক্রমিক। যে নম্বরটি লিখিত পরীক্ষায় না থাকলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।’

নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই। ৭৭১ নম্বর রোল টাইপিং মিসটেক হতে পারে। অফিস খোলার দিন যাচাইবাছাই করে দেখা হবে।’

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এটি নিছকই ছাপার ভুল। অসাবধানতাবশত ৭৭০ ক্রমিকের স্থলে ৭৭১ লেখা হয়েছিল। এর বেশি কিছু নয়। বিষয়টি নজরে এলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন