আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারের কারেন ও কায়া প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আর এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, বেসামরিক নাগরকিদের ওপর সেনা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জান্তা সরকার। এমন অভিযোগকে সরকারবিরোধী অপপ্রচার হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর।
সোমবারও সেনা অভিযানের মুখে থাইল্যান্ড সীমান্তে ভিড় জমায় মিয়ানমারের কারেন প্রদেশের শত শত মানুষ। তবে, এদিন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে থাই কর্তৃপক্ষ। গেল কয়েকদিনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের কয়েক হাজার মানুষ থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে, গেলো শুক্রবার কায়া প্রদেশে শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মিয়ানমার সরকার। নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ।
রোববার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, এমন ঘটনায় হতভম্ব তারা। মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধের পাশাপাশি ওই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। বিবৃতি দিয়েছে মিয়ানমারের মার্কিন দূতাবাসও। জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাপ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানায় তারা।
এদিকে, বিভিন্ন প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সেনা অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ঘটনার সত্যতা না জেনেই সরকার বিরোধী মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা।
শুক্রবার মিয়ানমারের কায়া প্রদেশে একটি গ্রামে সেনা অভিযানে শিশু ও নারীসহ অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। পরে তাদের লাশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। যদিও এমন অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।