অলাইন ডেস্ক :
মস্কোর এক বৈঠকেই কমে গেছে চীন-ভারতের যুদ্ধকালীন তাপমাত্রা। গত ২৯ আগস্ট থেকে চীন-ভারতের মধ্যে লাদাখ সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি। ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি আর গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল চীনের। ভারত বাড়তি সেনাও মোতায়েন করছিল ওই সীমান্তে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সে সময় বলেছিলেন, ‘উত্তেজনা এতটাই বেড়েছে যে রাজনৈতিক আলোচনার পথটাই কেবল খোলা।’ এরই ধারাবাহিকতায় মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় বৈঠক হয়েছে চীন-ভারতের।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই কথা বললেন টানা আড়াই ঘণ্টা। এরপর ঘোষণা এলো, পাঁচ বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত ও চীন। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘আমরা বিস্তৃত পরিসরে গভীর সব সংকট নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। সীমান্ত সংকট নিরসনে ভারতের মনোভাব ছিল ইতিবাচক। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক আলোচনায় সংকট নিরসন চাইছে তারা। আমরা তাতে সায় দিয়েছি। আমরা পাঁচটি বিষয়ে একমত হয়েছি।’
এ পাঁচটি বিষয়ের প্রথমটি হলো—সীমান্ত এলাকায় উসকানিমূলক আচরণ ও গুলি চালানো বন্ধ করা।
দ্বিতীয়ত, দুই দেশের সেনাদের মধ্যে আলোচনা বাড়ানো, যাতে উত্তেজনা কমে।
তৃতীয়ত, ভারত-চীন সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল মেনে চলা।
চতুর্থত, বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ চালু রাখা।
এবং পঞ্চমত, পরিস্থিতি শান্ত হলেই নতুন করে আস্থা তৈরির কাজ শুরু করা।
তবে লাদাখ সীমান্তে দুদেশের এক হাজার করে সেনা রেখে বাড়তি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকরের বিষয়ে কোনো পাকাপোক্ত কথা হয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর বৈঠকে এক ধাক্কাতেই কমে গেছে চীন ও ভারতের মধ্যকার যুদ্ধকালীন তাপমাত্রা।