হোম আন্তর্জাতিক লটারি জিতে বিলিয়নিয়ার ক্যান্সার রোগী, বন্ধুকে কেন দিলেন অর্ধেক টাকা?

লটারি জিতে বিলিয়নিয়ার ক্যান্সার রোগী, বন্ধুকে কেন দিলেন অর্ধেক টাকা?

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 84 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গেল এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাওয়ারবল জ্যাকপট বিজয়ী হিসেবে নাম আসে চেং ‘চার্লি’ সেফানের। যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডের এই বাসিন্দা মরণঘাতি ক্যান্সারের রোগী, জীবন বাঁচাতে নিচ্ছেন কেমোথেরাপি। গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) পুরস্কারের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি সংগ্রহ করেন।

চেং ‘চার্লি’ সেফানের বয়স ৪৬ বছর। সাংবাদিকদের তিনি জানান, পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ তিনি এবং তার স্ত্রী রেখে দিচ্ছেন। বাকিটা তাদের বন্ধু লাইজা চাওকে দিয়ে দিচ্ছেন। কারণ, তারা লটারির টিকিট কেনার জন্য একসাথে টাকা জমিয়েছিলেন।

লটারিতে জেতা ১.৩ বিলিয়ন ডলারের পুরোটা পেতে হলে চেং ‘চার্লি’ সেফানকে ৩০টি ধাপে অর্থ পরিশোধ করা হতো। কিন্তু তিনি বিকল্প অপশনটি বেছে নেন। একবারে ৬০৮ মিলিয়ন ডলার নগদ গ্রহণ করেন।

ফেডারেল এবং স্টেট ট্যাক্স কেটে নেয়ার পর সেফান পান মোট ৪২২.৩ মিলিয়ন ডলার।

ওরেগন রাজ্যের কর আইন অনুযায়ী, লটারিতে ১,৫০০ ডলারের বেশি অর্থ জিতলে ৮ শতাংশ কর দিতে হবে।

সেফান জানান, তিনি নিজের চিকিৎসা এবং পরিবার এই অর্থ খরচ করবেন।

গত আট বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন সেফান। বলেন, ‘আমি নিজের জন্য একজন ভাল ডাক্তার খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।’

লটারিতে তিনি ২০ টিরও বেশি টিকিট কিনেছিলেন। এমনকি লটারির ড্র হওয়ার আগে বন্ধু চাও-এর সাথে বিলিয়নিয়ার হওয়ার বিষয়ে ঠাট্টাও করেছিলেন।

সেফান যখন জানতে পারলেন, তারা জিতেছে তখন সে চাওকে ফোন করেন। চাও তখন কাজে যাচ্ছিলেন। সেফান তাকে বলেন, তোমাকে আর কাজে যেতে হবে না।

লাওসে জন্মগ্রহণ করা সেফান ১৯৮৭ সালে থাইল্যান্ডে এবং তারপর ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি জানান, লাওসে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি লাওসিয়ান নন, নিজেকে আইউ মিয়ান বলে পরিচয় দেন। এরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি জাতিগোষ্ঠী। সেফান ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পক্ষ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের পর প্রতিশোধ এড়াতে আইউ মিয়ান জনগণ থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন