রাজনীতি ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের করা দুই মামলায় বিএনপির আরও ১৬ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৃথক দুই আদালতে তারা জামিন আবেদন করেন।
এর মধ্যে যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ভূঁইয়া সাত জনের এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মমিনুল হাসান ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যুগ্ম জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান অভি, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন, সদর (পশ্চিম) উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন, পার্বতীনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুরাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুশফিক মাহমুদ সাদনান ও চররমনী ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী বোরহান ভান্ডারি।
অন্যদিকে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মমিনুল হাসান ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। তবে তাদের নাম ও পদবী জানা যায়নি।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পৃথক দুই আদালতে বিএনপি নেতারা উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।
অন্যদিকে একই মামলায় ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন। তারা হলেন-লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান হাছিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন, যুবদল কর্মী মো. সোহেল।
একই সঙ্গে ওইদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খাঁয়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও কৃষকদল কর্মী সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৯ জুলাই রাতে চারটি পৃথক মামলা করা হয়।
এর মধ্যে দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এছাড়া বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেয় আদালত।