সংকল্প ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গতকাল রোববার বৈঠক করে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। সেই আলোকে আজ আমরা আন্তমন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। বৈঠকে ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
‘বৈঠকের সংক্ষিপ্তসার তৈরি করে দ্রুততম সময়ে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আজ সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন হতে পারে’, যোগ করেন ফরহাদ হোসেন।
এর আগে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমাতে গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করলেও, সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, ইত্যাদি খোলার রাখার অনুমতি দিয়েছিল। এরই একদিন পরে রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা দিলে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকা গণপরিবহণ চলার অনুমতি দেয় সরকার।
সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি এই ভাইরাসে আরও ১০২ জন মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ১০১ জন করে মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে তিন হাজার ৬৯৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ১২১ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।
এই অবস্থায় চলমান লকডাউনে কোভিড-১৯ জাতীয় পরার্মশক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত বাড়ছে।
চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেওয়া নির্দেশনা মানুষ সঠিকভাবে মানছে না। কমিটির মতে, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় পরার্মশক কমিটির সুপারিশেই গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।