হোম খুলনাসাতক্ষীরা রিমান্ডের নামে দুই লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বানিজ্য সাতক্ষীরা পুলিশের, ফেরত দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের

রিমান্ডের নামে দুই লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বানিজ্য সাতক্ষীরা পুলিশের, ফেরত দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 22 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রিমান্ডের নামে পুলিশের নেওয়া দুই লক্ষাধিক টাকার ঘুষ ফেরত চেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সাথে মোবাইলসহ তাদের ব্যবহার্য্য বিভিন্ন জিনিস পত্র ফেরত চেয়েছেন তারা। অন্যথায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আইনী সহায়তা দেওয়া আইনজীবীরা। রবিবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইনজীবী ও বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আইনজীবী এড. শহীদ হাসান বলেন, তারা ঝুকি নিয়ে ছাত্রদের মামলায় বিনামুল্যে আইনীসহায়তা দিয়েছেন। বিবেক আর মানবতার কল্যাণে তারা এ কাজ করেছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় রিমান্ডের নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্যা মো: সেলিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনতিবিলম্বে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরার অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ২টি মামলা এখনো চলমান রয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে ৭ হাজার,শাহারুজ্জামানের কাছ থেকে ৬ হাজার, কাজী সাকিবের কাছ থেকে ৫ হাজার, ইব্রাহিম হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন পুলিশ পরিদর্শক মোল্যা মো: সেলিম। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তারেক বিন আব্দুল আজিজ শিক্ষার্থী মঈনুল ইসলামের কাছ থেকে ঘুষ নেন ১৪ হাজার টাকা।

সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম এস এম রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে ঘুষ নেন ৩৫ হাজার টাকা। এভাবেই পুলিশ কর্মকর্তারা রিমান্ডে থাকা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন থেকে রেহাই দেওয়ার অজুহাতে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া পুলিশ শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কমপক্ষে ১০টি এ্যান্ড্রয়েড ফোন কেড়ে নেন।

প্রসঙ্গত: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমন করতে সদর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলায় আসামী করা হয় ১৮ জনকে ও আরেকটি মামলায় আসামী করা হয় ১৩ জনকে। প্রথম মামলায় ১৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোল্যা মো: সেলিম।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন