হোম জাতীয় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

কর্তৃক
০ মন্তব্য 155 ভিউজ

সংকল্প ডেস্ক :

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাহেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এ দিন সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী দিন ধার্য করেন। পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে অস্ত্র মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি এ দাবি করেন। সাহেদ বলেন, ‘আমার কাছ থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’

এরপর বিচারক তাকে সাফাই সাক্ষী দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দেবো না।’ এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকা চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।

গত ১৫ জুলাই ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন