হোম জাতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানালেন সিইসি

জাতীয় ডেস্ক:

নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে দ্রুত দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।

‘নির্বাচনের সকল প্রস্তুতির কথা আজকে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। তিনি সব শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরণের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এখন আমরা কমিশনে বসে চূড়ান্ত তালিকা ঠিক করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবো।’- যোগ করেন সিইসি।

রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং চার নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর এবং মো. আনিছুর রহমান বঙ্গভবনে যান। এরপরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তারা বৈঠক করেন।

শোনা যাচ্ছে, ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন।

রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। সিইসি’র ভাষণও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন