জাতীয় ডেস্ক:
জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার চুক্তির মেয়াদও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাকে এ পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে তার বর্তমান চুক্তির ধারাবাহিকতায় এবং একই শর্তে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাস মেয়াদে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে। ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট তাকে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করে সরকার।
এর আগে ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই বছর ২৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন মোশাররফ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠলে সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। তাতে প্রধান আসামি করা হয়েছিল মোশাররফকে। মামলা ও গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল সরকার। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চাকরি ফিরে পান তিনি। দুদক ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে প্রতিবেদন দিলে ওই মামলা বাতিল হয়ে যায়।
চাকরিতে ফেরার পর মোশাররফ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল পদোন্নতি দিয়ে তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়।
২০১৬ সালের ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল মোশাররফের। এর একদিন আগে ২৯ জুন তার পিআরএল বাতিল করে এক বছরের চুক্তিতে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্বে রেখে দেয় সরকার। এরপর দুই বছরের চুক্তিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।