হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়া থেকে আরও দুই যুদ্ধবিমান পেল মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

রাশিয়া থেকে আরও দুইটি যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে মিয়ানমার। এসইউ-৩০ মডেলের যুদ্ধবিমান চলতি বছরের মার্চে মিয়ানমারে পৌঁছায়। মিয়ানমার বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চলতি সপ্তাহে এ খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।

খবরে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী ছয়টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রথম চালানে দুইটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে মস্কো। শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, এর সঙ্গে মিয়ানমারে বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষক ও প্রকৌশলীও পাঠিয়েছে দেশটি। প্রশিক্ষক ও প্রকৌশলীরা যুদ্ধবিমান পরিচালনায় মিয়ানমার বিমানবাহিনীকে সহায়তা করছে।

দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদন মতে, সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়া বিমানবাহিনীর সাবেক একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জান্তার বিমানবাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য এ মুহূর্তে একাধিক রুশ পাইলট ও প্রকৌশলী রাজধানী নেপিদো ও মান্দালয় বিমানঘাঁটিতে অবস্থান করছে।

মিয়ানমারের যুদ্ধকালীন সম্পদ সাধারণত অভিযান এলাকায় রাখা হয়ে থাকে; বিশেষ করে দেশটির সীমান্ত এলাকায়। তবে নতুন দুইটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে নেপিদো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানকার একটি ঘাঁটিতে এই দুইটি বিমান রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার পরের বছর রাশিয়ার সঙ্গে এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ক্রয়চুক্তি করে মিয়ানমার। ২০১৮ সালে মিয়ানমার সফর করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। ওই সফরের সময় ছয়টি বিমান বিক্রি করতে সম্মত হয় মস্কো।

ওই সময় রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী লে. জে. আলেক্সান্ডার ফোমিন বলেন, এই বিমানগুলো মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর মূল যুদ্ধবিমান হয়ে উঠবে। দেশটির আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং সন্ত্রাসবাদী হুমকি মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলেও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

এর আগেও রাশিয়া থেকে কয়েকটি মডেলের আরও বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান কিনেছে মিয়ানমার। এর মধ্যে রয়েছে, মিগ-২৯ ও ইয়াক-১৩০ ও এমআই ২৪ হেলিকপ্টার গানশিপ।

২০১৭ সালের আগস্টের শেষদিকে স্থানীয় সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের উপর ‘গণহত্যা‘ চালায় মিয়ানমার। সে সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নজিরবিহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের বেশি।

জাতিসংঘ ও বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ নির্যাতনকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অধিকাংশ দেশ ও সংস্থা রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় সমালোচনায় মুখর হলেও মিয়ানমারের সেনা অভিযানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন