হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি, মিয়ানমারের ৩ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করে জান্তা সরকারকে সরবরাহ করার অভিযোগে মিয়ানমারের তিন ব্যক্তি ও এক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে আগামী বছর দেশটিতে জান্তা সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশ না নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে এক সপ্তাহে একশর বেশি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে তারা।

অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। গেল এক সপ্তাহে জান্তা বাহিনীর একশর বেশি সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানায়, গত দুদিনে চীন, কারেন ও শান রাজ্যে অন্তত ৩০ সেনা নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের দমনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জান্তা বাহিনীও।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সররবাহ করছে দেশটির বেশ কয়েকজন চোরাকারবারি। তারা রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এরই মধ্যে তিনজন ব্যবসায়ী ও একটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জান্তার হয়ে অস্ত্র কেনাকাটায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মিয়ানমারের ব্যবসায়ী অং মোয়ে মিন্ট, তার প্রতিষ্ঠিত ডাইনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড ও এর দুই পরিচালকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তারা। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, মিন্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য ‘নানান অস্ত্র, সরঞ্জাম, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানের’ পাশাপাশি বিমানের যন্ত্রাংশ সংগ্রহের কাজে তার কোম্পানিকে ব্যবহার করছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে।

এদিকে আগামী বছর মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। জান্তা সরকারের অধীন হতে যাওয়া এ নির্বাচন লোক দেখানো উল্লেখ করে তাতে সমর্থন বা অংশ না নিতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এর মধ্যেই মিয়ানমারের জেলে বন্দি জাপানের চলচ্চিত্র নির্মাতাকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানিয়েছে টোকিও। গত জুলাইয়ে বিক্ষোভ চলাকালে তরু কুবোতা নামের ওই জাপানিকে আটক করা হয়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহ ও যোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন