আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে একটি গ্যাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে টার্মিনালটিতে বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহত হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, রোববার (২১ জানুয়ারি) সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে গ্যাস টার্মিনালে বিস্ফোরণ ঘটে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকায় ড্রোন দেখা গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ড্রোন ব্যবহার এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, এই বিস্ফোরণের পেছনে কিয়েভের হাত রয়েছে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে বিস্ফোরণ নিয়ে আঞ্চলিক গভর্নর আলেকজান্ডার ড্রোজডেনকো বলেছেন, বিস্ফোরণে পর গ্যাস উৎপাদনে উচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেটিতে বড় ধরনের আগুন দেখা গেছে।
গ্যাস টার্মিনালে বিস্ফোরণের বেশ কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরো এলাকা তুষারে ঢেকে আছে। তার মধ্যে গ্যাস টার্মিনালের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গত প্রায় দুই বছর ধরে সংঘাত চলছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এসব হামলায় উভয় পক্ষই ড্রোন ব্যবহার করছে।
চলতি সপ্তাহেও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি তেল সংরক্ষণাগারে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে ওই তেল সংরক্ষণাগারে আগুন লেগে যায়। কিয়েভের পক্ষ থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়।
কিয়েভ জানায়, রুশ তেল সংরক্ষাগার লক্ষ্য করে এটা তাদের দ্বিতীয় ড্রোন হামলা। তাদের এ হামলা যৌক্তিক। তাদের দাবি, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়ার হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা এ হামলা করেছে।