ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবনা এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে এবারই সবচেয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইইউ। বিবিসির প্রতিবেদনে বুধবার এমনটি বলা হয়েছে।
তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন রুশ কর্তাব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবও এনেছে ইইউ।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, ‘ইউরোপের ক্ষতি কমের মধ্যে রেখে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব প্রস্তাব আনা হয়েছে।’ আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েকদিনের মধ্যে ষষ্ঠ ধাপের এই প্রস্তাবনা ইউরোপীয় কমিশনে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের বুচা ও মারিউপোল শহরে যুদ্ধাপরাধমূলক কাজে জড়িত সন্দেহভাজন সামরিক কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তৃতাকালে কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেন, ‘এসব নিষেধাজ্ঞা ক্রেমলিনের যুদ্ধে জড়িতদেরকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে। কারা জড়িত, আমরা তা জানি। সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।’
কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্তিও দৃশ্যমান হয়েছে। হাঙ্গেরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে রাজি নয়।
২০২২ সালের শেষ নাগাদ দুই-তৃতীয়াংশ গ্যাস আমদানি কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে অপরিশোধিত তেল আমদানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় ইউরোপ। এ ছাড়া ২০২২ সালের মধ্যেই পরিশোধিত সব পণ্য আমদানি শূন্যে আনতে চায় ইউরোপ।
হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া যেহেতু রাশিয়ার তেলের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। ফলে দেশ দুটিকে আরও এক বছর বাড়তি সময় দেওয়ার কথা ভাবছে ইউরোপীয় কমিশন।