শিপলু জামান, ঝিনাইদহ :
২৮ অক্টোবর বিএনপির হরতাল ও অবরোধ কর্মসুচী ঘোষনা করলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ নড়ে চড়ে বসে ।নাশকতা এড়াতে ও সম্ভাব্য উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আটক করা হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের ।ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এরই মাঝে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে অনেক নেতা কর্মী । তাই সম্ভাব্য ধরপাকড় এড়াতে উপজেলার বিএনপি নেতা কর্মীরা রাত হলেই কাঁথা, বালিশ , মশারী ও টর্চ লাইটসহ বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ির পাশে মাঠে অথবা ছোট জঙ্গলে ।দিনের আলো ফোটার পরেই বের হচ্ছেন রাত্রী যাপনের স্থান থেকে ।সম্ভাব্য ঝুকি এড়াতে বাড়ি ছাড়া নেতা কর্মীরা মুঠোফোনেও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ ৪ আসনের মনোয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ সমর্থকদের কাঁধে মামলার বোঝা বেশি । এরই মাঝে পৃথকভাবে তিনটি মামলা কাধে নিয়েছেন হামিদ সমর্থিত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন।এরই মাঝে একাধিক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়েছেন ও আটক হয়েছেন কয়েক ডজন নেতাকর্মী।
দেখা না করার শর্তে কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মিলন জানান ,সরকারের গায়েবী ও কাল্পনিক মামলায় আমরা ভিতু না । রাজপথের আন্দোলনে দাবি আদায় হবে ,শুধু সময়ের অপেক্ষা ।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহŸায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ মুঠোফোনে জানান ,আমাদের শান্তিপূর্ন সকল আন্দোলনেই পুলিশ বাধা সৃষ্টি করছে ।এরই মাঝে তিনটি মামলায় আমাদের প্রায় ১০০ জন নেতাকর্মীকের আসামি করা হয়েছে ।যতই শক্তি প্রয়োগ করা হোক না কেন চলমান আন্দলোন থামানো যাবেনা ।দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো ।
বিরোধী নেতাকর্মী আটক ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্পর্কে কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমান জানান ,পথে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে ।সাধারন মানুষদের কোন হয়রানি করা হচ্ছে না ।এখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল ।