জাতীয় ডেস্ক:
শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে এখন ভোটের ফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইভিএম মেশিনসহ ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে। ভোটের ফল দেখানোর জন্য একাডেমির বাইরে ডিজিটাল স্ক্রিনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এতে যে কেউ সেখান থেকে ভোটের ফল দেখে নিতে পারবেন। এরই মধ্যে সেখানে জড়ো হয়েছেন অনেকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাসিক নির্বাচনে ৫৬টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৫১ ভোট।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।
এদিকে, ফল ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নগরজুড়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আমাদের কাছে তথ্য আছে, ফল ঘোষণার পর কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৪০টি মোবাইল টিম মাঠে আছে।’
এ ছাড়া নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
