হোম রাজনীতি রাজনৈতিক দলের হাতে সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিলো অন্তর্বর্তী সরকার

রাজনৈতিক দলের হাতে সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিলো অন্তর্বর্তী সরকার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 87 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকার আয়োজন করে বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনও আয়োজন করতে যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলো নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন এই প্রত্যাশা করছি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এর আগে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তারা ১৫ বছর নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে এক সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, একসঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন এই প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, আমি গতকালই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানান হয়েছে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।

আসিফ নজরুল জানান, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা অভিমত ব্যক্ত করে। এসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কালক্ষেপণের কোনও সুযোগ নাই, সেটাও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পূর্ণব্যক্ত করা হয় বলেও উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের জন্য এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ, সংবিধান সংস্কার আদেশ চূড়ান্তকরণ এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সভায় লক্ষ্য করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এছাড়া গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে এবং এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে সে জন্য সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে, বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সভা অভিমত ব্যক্ত করে।

এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছর একসঙ্গে আন্দোলন করেছে। আমরা তাদের একটু সময় দিতে চাই। তারা এসব বিষয়ে নিজেরা আলোচনা করে একমত হতে পারে কিনা আমরা একটু দেখি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনও আল্টিমেটাম দেই নাই। আমরা অপেক্ষা করবো, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন