রমজানে দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে, তারা গণবিরোধী; বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘রমজানে দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় রমজানে দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদেরকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমদানি নির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদন নির্ভর পণ্যসহ সমস্ত পণ্যের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে, সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুদ এখন শুধু যথেষ্টই নয়, বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এবং রমজানে দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুদ থাকে, তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু, বর্তমানে বিশ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম এবং ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমযানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে। এরপরেও দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদাররা এই রমযানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এটি যারা করবে, তারা আসলে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে, এটা আপনারা দেখেছেন। বাজার মনিটর করা হচ্ছে। এটি খুব সহসা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাব।’
‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মতো কখনও পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যেন এই ধরণের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে, এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করাসহ গণমাধ্যমও ভূমিকা রাখতে পারে।’