হোম অর্থ ও বাণিজ্য রফতানি বৃদ্ধিতে বন্দর ব্যবস্থাপনা সহজ করার তাগিদ

রফতানি বৃদ্ধিতে বন্দর ব্যবস্থাপনা সহজ করার তাগিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 60 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

রফতানি সম্প্রসারণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পোর্ট অ্যান্ড শিপিং এর প্রথম সভায় এ দাবি জানান তারা।

সভায় অংশ নিয়ে কমিটির সদস্যরা জানান, চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অর্থাৎ ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে, পণ্য বা কাঁচামাল আমদানি-রফতানির জটিলতা কমিয়ে আনা জরুরি।

তাদের মতে, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি, জেটির সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ, হেভি লিফট স্থাপন, কাস্টমস এবং এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণ, রফতানি পণ্য জাহাজীকরণের সময় (লিড টাইম) হ্রাস, বন্দরগুলোতে টেস্টিং ল্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কনটেইনার খালাসের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক চার্জ আদায় রোধ করা গেলে রফতানিখাত উপকৃত হবে।

এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি খাত। আগামীতে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি-রফতানিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।

পণ্য পরিবহন, জাহাজীকরণ ও কাস্টমসসহ পণ্য রফতানিতে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে কমিটির সদস্যদের কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত ও পরামর্শ চান এফবিসিসিআই পরিচালক এবং পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ এ এম মাহবুব চৌধুরী। এসময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, পোর্ট এবং শিপিং সেক্টরে ৮ থেকে ১০ টি স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) রয়েছে। সকল পক্ষের সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা তৈরির মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বৈষম্য কমিয়ে আনার দাবি জানান ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলেন, রফতানিকারক হিসেবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কিংবা ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কেনা গেলেও, পণ্যের কাঁচামালসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে একজন রফতানিকারককে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২০ টাকা থেকে ১২২ টাকা গুণতে হয়। যা রীতিমতো বৈষম্য।

এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলায় এই রফতানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। রফতানির ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানসহ রফতানি বৈচিত্র্যকরণ এবং সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

এ সময় তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী শিল্পকে দেয়া প্রণোদনা বন্ধ করা হলে রফতানিখাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মেহদী আলী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বিশ্বে জুড়ে ব্যবসা স্থানান্তরিত হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ মো. বখতিয়ার, পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আহমেদ সাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী, এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং রফতানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ সালমা হোসেন এ্যাশ, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন