শিক্ষা ডেস্ক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদে নেতৃত্ব দেয়া এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। র সময় তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনে অংশ নেয়া মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তখনকার উপাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান।
এ ছাড়াও, আবু সাঈদ হত্যা মামলার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে যায় এমন প্রেসক্রিপশন দেয়ার জন্য তখনকার অধ্যক্ষকে সাথে নিয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসককে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোনো শিক্ষক রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ- উপাধ্যক্ষসহ কোনো প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবে না। এ সময় দাবি আাদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেডিকেল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সঠিক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চিকিৎসককে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। সে অনুযায়ী চিকিৎসক সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন, যেখানে গুলিতে নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সময়, ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন না বলেও দাবি করেন তিনি। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এই চিকিৎসক।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রশাসন। এরপর পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া এবং আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলতে থাকে তার বিরুদ্ধে।