আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অপহরণের পর যৌন উত্তেজক ওষুধ ব্যবহার করে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে টানা ৮ বছর ধর্ষণে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করা হতো বলেও অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী কিশোরী। এ অভিযোগে মামলার পর এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
সম্প্রতি ভারতের মুম্বাই প্রদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে স্থানীয় থানায় অপহরণ মামলা করেন। ভুক্তভোগীর বাবার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে রোববার (৬ জুন) ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় গ্রেপ্তার করা হয় কিশোরীর চাচা ও চাচাতো ভাইকে।
মামলার অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণের পর প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ‘যৌন উত্তেজক’ ট্যাবলেট ও ইনজেকশন নিতে বাধ্য করে। এরপর তার ওপর চালানো হয় যৌন নির্যাতন। টানা ৮ বছর চলে এ নির্যাতন।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনা জানতেন অভিযুক্তের স্ত্রীও। যদিও গ্রেপ্তার হওয়া ওই দম্পতি ঘটনা অস্বীকার করেছে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই কিশোরীর চাচা ও চাচাতো ভাইকে।
এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরী জানিয়েছে, তার বাবা বিয়ের জন্য মুম্বাই থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার পরপরই চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে।
স্থানীয় আম্বোলি থানায় একটি ২৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ জমা দেয় ওই কিশোরী। সেখানে লেখা ছিল যে ওই ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রথমে তার ওপর যৌনাচার চলে। যা ভিডিও করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলোতে ওই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করা হতো তাকে।
এ ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকে কিশোরী। জানা গিয়ে, এর আগে মেয়ের নামে পুলিশের কাছে কিডন্যাপের মামলা করেছিলেন কিশোরীর বাবা। দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।