হোম এক্সক্লুসিভ যৌতুক দাবি: বাবাকে ফোন কলে রেখে মেয়েকে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক:

ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে বাবাকে ফোন কলে রেখে শামীমা সুলতানা সাথী নামে এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী হাসানুর জামান রিপন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে শৈলকূপা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিতা শামীমা সুলতানা সাথী শৈলকূপা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী হাসানুর জামান রিপন হাকিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে। সাথী বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নির্যাতিতা সাথী জানান, ৩ মাস আগে হাসানুর জামান রিপনের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবার বাড়ি থেকে সোনার গহনাসহ নগদ টাকা যৌতুক দেয়। বিয়ের কিছুদিন সবকিছু ভালো থাকলেও ১ মাস পার হতে না হতেই যৌতুকলোভী রিপন টাকার জন্য সাথীকে চাপ দিতে থাকে। পরিবারের কথা চিন্তা করে সাথী বাড়িতে কিছু বলেনি। ১ সপ্তাহ আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার দেবর ও ননদ তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সাথীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সেবারের মতো রক্ষা পায়। এরপর বিভিন্ন সময় টাকার জন্য রিপন ও তার পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকে। সবশেষ শনিবার সাথীকে টাকা আনার কথা বললে সাথী অস্বীকার করে। পরে সাথীর পিতা শরিফুল ইসলামকে ফোন কলে রেখে বেধড়ক মারপিট করে দেবর ও ননদসহ পরিবারের সদস্যরা। পরে শরিফুল ইসলাম তার মেয়েকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগীর বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা মারপিট করেছে। কোনো মানুষ এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন