লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ইসলাম ধর্মের অন্যতম বৃহত্তম উৎসব হলো ঈদুল আজহা। এ ঈদকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ ঈদে আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দিয়ে থাকে।
ইসলামি শরিয়তে কোরবানির ক্ষেত্রে সব পশুই কোরবানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে স্পষ্টভাবে কোরবানির পশুর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেছেন, চার ধরনের পশু, যা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। অন্ধ: যেটার অন্ধত্ব স্পষ্ট, রোগাক্রান্ত: যার রোগ স্পষ্ট, পঙ্গু: যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট এবং আহত: যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১৪৪)
এ বিষয়ে ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহও কিছু নির্দেশিকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসলমা শরিয়তে কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সের কথা উল্লেখ রয়েছে।
যেমন কোরবানির জন্য নিয়ত করা হলে উটের ক্ষেত্রে ৫ বছর, গরুর ক্ষেত্রে ২ বছর এবং অন্যান্য ছোট চার পায়া প্রাণির ক্ষেত্রে অবশ্যই কমপক্ষে ১ বছর পূরণ হতে হবে। ইসলাম ধর্মে এ বয়সসীমার নিচে কোনো পশু কোরবানির জন্য হারাম বলে গণ্য করা হয়।
এ ছাড়াও পাগল কিংবা কোনো রোগে আক্রান্ত পশু, লিঙ্গ কাটা পশু, চুরি করা পশু দিয়েও কোরবানি দেয়া জায়েজ নয়। কোরবানি দেয়ার জন্য পশুর হাট থেকে ত্রুটিহীন পশু বাড়িতে কিনে আনার পর যদি কোনো ত্রুটি পশুর শরীরে দেখা দেয় তবে অধিক সম্পদের মালিক এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সেই কেনা পশু কোরবানি দেয়া হারাম বলে বিবেচিত।