হোম আন্তর্জাতিক যে কারণে পদ হারালেন নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নাগরিকত্ব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিচানেকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এই নির্দেশ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবগঠিত দল নিয়ে জোট সরকারে যোগ দেয়ার পর গত ২৬ ডিসেম্বর উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান লামিচানে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি।

রায়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বলেন, গত বছরের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করার পর ৪৮ বছর বয়সী লামিচানে নেপালি নাগরিকত্বের অবৈধ সনদ ব্যবহার করে ওই নির্বাচনে অংশ নেন।

লামিচানের আইনজীবী সুনীল পোখরেল বলেছেন, তিনি তার মন্ত্রিত্ব হারালেন। এখন তার নির্বাচনী এলাকায় উপনির্বাচন হবে।

নেপালের রাজনৈতিক বিশ্লেষক কৃষ্ণ খানাল বলেন, লামিচানের বিদায়ে নেপালে ক্ষমতাসীন জোটের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রভাবিত হবে না।

রাজনীতিতে আসার আগে লামিচানে নেপালের জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি নিজের মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। তবে আদালত বলছেন, নাগরিকত্ব ত্যাগ করার ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি লামিচানে। পদ হারানোর বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন লামিচানে। সে বছরই তিনি নেপালের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্বাচনে অংশ নেন।

বিশ বছর পর ২০১৪ সালে লামিচানে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। নেপালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, যেদিন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়েছেন, সেদিন সয়ংক্রিয়ভাবেই তার নেপালি নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন