রাজনীতি ডেস্ক:
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ও ২৯ তারিখের হরতাল এবং তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীতে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নের পরিকল্পনায়। আর বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুল হাসান মিন্টু।
যুবদল নেতা মিন্টু এবং বোমা বাশারকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে ছিল বিএনপির মহাসমাবেশ। সমাবেশ শুরুর আগে দলটির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশের সঙ্গে। নয়াপল্টন ছাড়াও আশপাশের এলাকায় মুহুর্মুহু ককটেল ও বোমার বিস্ফারণ ঘটে। পরদিন হরতালে এবং ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিতেও একই ঘটনা ঘটায় বিএনপি।
হারুন অর রশীদ জানান, ‘এই ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনায় ছিল যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। আর বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টু। মিন্টুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এদের মধ্যে বাশার এবং মাসুদ বোমার কারিগর।’
তিনি জানান, ‘আবুল বাশার ওরফে বোমা বাশার ১৭ তারিখে ঢাকায় আসেন বরিশাল থেকে। বোমা তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করেন কুমিল্লা থেকে। তার বানানো হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ২৭ অক্টোবর রাতে। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ, ২৯ তারিখ হরতালের দিন এবং টানা তিনদিনের অবরোধে ঢাকায় যত বিস্ফোরণ হয়েছে তা সরবরাহ করেছে সাইদ হাসান মিন্টু। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল বোমা ও ককটেল তৈরির উপকরণ।’
৫ এবং ৬ তারিখের অবরোধেও ঢাকায় বিএনপির ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল জানিয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘৫ ও ৬ তারিখও তাদের টার্গেট ছিল। আমরা আট কেজি গান পাউডার ও তৈরি করা অনেক বোমাও জব্দ করেছি। তারা চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে গান পাউডার আনেন। আর বোমা বানানোর জন্য বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকবল সংগ্রহ করেন। তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা অনেক আগে থেকে বোমা তৈরি করে আসছেন। ২০১২-১৩ সালেও তারা অনেক বিস্ফোরণ করেছেন। তারা বিভিন্ন সময় পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা বিস্ফোরণ করে থাকেন। আর রবিউল ইসলাম নয়ন তাদের নেতা। সে সবাইকে নেতৃত্ব দেন। বোমা বিস্ফোরণে যারা দক্ষ তাদেরকে ভালো পদ দেয়া হবে এই অফার দিয়ে ছাত্রদল, যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে এই বোমাগুলো বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।’