হোম জাতীয় যেদিন ট্রাম্প ও বাইডেন কথা বলবেন সেদিন আমরাও চিন্তা করব: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক:

যেদিন ট্রাম্প ও বাইডেন কথা বলবেন সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারও সংলাপের বিষয়ে চিন্তা করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘ওদের সঙ্গে কীসের সংলাপ? ওরা কী মানুষের জাত?’

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে বেলজিয়াম সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তোলেন তিনি।

খুনিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বিরোধী দল হলো নির্বাচিত প্রতিনিধি। এই যে এত মানুষ হত্যা করা হলো, পুলিশ হত্যা করা হলো, তা নিয়ে কেনো প্রশ্ন নেই? খুনিদের সঙ্গে কীসের আলোচনা, কীসের সংলাপ। কোনো সংলাপ হবে না। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা দেশবাসীও মেনে নেবে না। যদি আলোচনা করতে হয়, ডিনার খেতে হয়। তা পিটার হাস নিজেই করে খাক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো কেনো রহস্যজনকভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ হত্যা; এসব নিয়ে কেনো কথা বলছেন না? দেশের বুদ্ধিজীবীরা কেনো তাদের জ্ঞানের ভান্ডার বন্ধ করে রেখেছেন। তারা কী এসব দেখছেন না?’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যে সন্ত্রাসী দল, সেটি তারা ২৮ তারিখে আবারও প্রমাণ করলো। সুস্থ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তারা জনসমর্থনও পাচ্ছিলো। কিন্তু ২৮ তারিখের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের ধিক্কার ছাড়া তাদের কপালে আর কিছু জুটবে না। তাদের এসব ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের ঘটনা মিলে যায়। নিজেরা কর্মসূচির ডাক দিয়ে মাঠ থেকে পালালো। কীসের দাবিতে কীসের অবরোধ? দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি এমন নৃশংস কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ব্যস্ত।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে বেলজিয়ামের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বেলজিয়াম সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব এ সফরকালে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। গ্লোবাল গেটওয়ের আওতায় বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভি, শিক্ষা, গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নিতে গত ২৪ অক্টোবর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বেলজিয়ামে যান প্রধানমন্ত্রী। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ওই ফোরামে যোগ দেন তিনি। ফোরামের ফাঁকে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্র ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

সফরকালে ২৫ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫ কোটি ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা, সাড়ে ৪ কোটি ইউরোর একটি অনুদান এবং একই খাতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ ইউরোর অনুদান চুক্তি সই হয়।

এছাড়া সামাজিক খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ৭ কোটি ইউরোর আরও পাঁচটি অনুদান চুক্তি হয়। ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। দুদিনের সফর শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন