হোম রাজনীতি যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 109 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

কুমিল্লার মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কামরুল হাসান (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চালিভাঙ্গার বাগ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কামরুল চালিভাঙ্গা গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। তিনি ছিলেন ওই ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেঘনা উপজেলা) মো. আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী।

এ সময় আরও ৮ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই নিজাম সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা পরিষদের সদস্য মো.কাইয়ুম হোসেন ও তার দলের লোকেরা জামিনে মুক্তি পেয়েও আতঙ্কে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছিলেন না।

বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার মেঘনা থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়- আপনারা বাড়ি যান, আমরা পুলিশ মোতায়েন করে রাখব। পরবর্তীতে রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।

সে সুবাদে কাইয়ুম গ্রপের লোকজন সোমবার দুপুরে যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হুমায়ুন গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাইয়ুম গ্রুপের অনুসারীদের উপর হামলা চালায়। এতে কামরুলসহ ৮ জন আহত হয়। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে ওই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুল মারা যায়।

এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সরকার মুঠোফোনে বলেন, আমি আজকে বাড়িতে ছিলাম না। বিকাল ৪টায় এসেছি গ্রামে। আমার ছোট ভাই টিটু দুপুরে কাইয়ুমের বাবাকে লোকজন নিয়ে বাজারে ঘুরতে দেখেছে। পরে গ্রামের সবাই সেখানে গেছে বলে শুনেছি। পরবর্তীতে কি হয়েছে জানি না। আমার লোকজন কারো ওপর হামলা করেনি।

মেঘনা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখনো থমথমে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বের কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতদের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন