নিজস্ব প্রতিনিধি:
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী মামলায় আসামী কারাবন্দী সুরত আলী মেম্বর (৭৬) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানীপুর গ্রামের মৃত শের আলী গাজীর ছেলে ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পিতাকে হত্যার অভিযোগে সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে চন্দনা রানী মন্ডল টুকুর ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী মামলার আসামী ছিলেন তিনি।
গত ২১ আগষ্ট পুলিশের কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের সদস্যরা তারানীপুর গ্রামের নিজ নিজ বাড়ি থেকে সুরত আলী গাজী (৭৬) ও আব্দুল আজিজ গাজী (৮৪) কে গ্রেপ্তার করে। এর আগে আন্তজার্তিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় চন্দ্রনা রানী টুকুর দায়েরকৃত মামলার জামিনে থাকা ঐ দুই আসামীর বিরুদ্ধে।
সুরত আলী মেম্বরের ছেলে শহীদ-উজ জামান জানান ২১ আগষ্ট বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর সাতক্ষীরা কারাগার হতে তাকে কোরনীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। নানাবিধ শারিরীক জটিলতায় ভুগতে থাকায় সম্প্রতি কারা কতৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। তিনদিন পর খবর পেয়ে বৃধবার রাতে তারা ঢাকায় পৌছানোর পর বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তার মৃত্যু হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ নিয়ে তারা বাড়িতে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে একই মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা মহসীন-উল মুলক ও ফজের আলী নামের দুই আসামীর যথাক্রমে এ বছরের ১৯ মে ও ৮ আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া সুরত আলী মেম্বরের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।