আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। আগামী সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত তিনটি সূত্র জানিয়েছে, দেশগুলোর নিরাপত্তা ও যাচাই ঝুঁকির ওপর সরকারি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই তিনটি সূত্র বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্যান্য দেশও থাকতে পারে। তবে এসব দেশের নাম তারা জানেন না।
২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের নতুন এই সিদ্ধান্ত প্রথম মেয়াদের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। তবে এটি আরও বিস্তৃত হতে পারে।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের নতুন এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ফলে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে বা বিশেষ অভিবাসী ভিসা নিয়ে পুনর্বাসনের জন্য অনুমোদন পাওয়া হাজার হাজার আফগানকে প্রভাবিত করতে পারে। এসব ব্যক্তি ২০ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করায় তালেবানের প্রতিশোধের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন ট্রাম্প। সেইদিনেই শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করে একপ্রকার ঝড় তুলেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, ২০ জানুয়ারি এমন একটি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে যেকোনো বিদেশি নাগরিকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সুরক্ষা যাচাই আরো কঠোর করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প।
সেই আদেশে একাধিক মন্ত্রিপরিষদ সদস্যকে ১২ মার্চের মধ্যে এমন দেশের একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাদের ভ্রমণ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করা উচিত।
তিনটি সূত্র এবং আরও একজন সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানকে সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সুপারিশকৃত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া তিনটি সূত্র আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই উদ্যোগ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন স্টেট, জাস্টিস এবং হোমল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট এবং ডিরেক্টর ফর ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিস।