আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাসের পাশাপাশি ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ ও হুতির মতো শক্তিশালী সংগঠনও। অন্যদিকে ইসরাইলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার দেশটির অত্যাধুনিক এক ড্রোন ভূপাতিত করেছে হুতি বিদ্রোহীরা।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। বুধবার (৮ নভেম্বর)। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক শাখার মুখপাত্রও।
এর আগেও মার্কিন একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছিল হুতি বিদ্রোহীরা। তারা জানায়, ইসরাইলের পক্ষে ইয়েমেন উপকূলে নজরদারি ও গুপ্তচরবৃত্তি করছিল যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটি। সেটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলে সম্প্রতি নতুন করে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এ হামলায় ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরের কার্যকলাপও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি তাদের।
হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসন বন্ধ না হচ্ছে, হুতি বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে…।
এর আগে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে সম্প্রতি ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিপুল ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ছোড়ে হুতি সদস্যরা। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তাদের দূরপাল্লার সমরাস্ত্রের সক্ষমতা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ইসরাইল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের। প্রায় ১ হাজার ৪০০ মাইল দূর থেকে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এসব মিসাইল।
হুতিদের সমরাস্ত্র ভাণ্ডার কতটা শক্তিশালী সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ না করলেও, তাদের সামরিক শক্তি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাণ্ডারের বেশিরভাগ সমরাস্ত্রই ইরানের দেয়া। ওমান, আরব সাগর ও লোহিত সাগর হয়ে তেহরান থেকে হুতিদের হাতে পৌঁছায় এসব অস্ত্র।