হোম জাতীয় যাত্রী তোলা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র

জাতীয় ডেস্ক :

সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় ট্রেনের যাত্রী তোলা নিয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দুই গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া থেকে শুরু করে দোকান ভাঙচুর, শেষ পর্যন্ত এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোহনগঞ্জের বিরামপুর অটোস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩০-৪০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে রাবার বুলেট ছোড়ে।

স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনে এসে যাত্রীরা নামেন। পরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার কয়েক যাত্রী রিজার্ভ অটোরিকশা ভাড়া নিতে গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিকের মধ্যে কে যাত্রী নেবে, এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। বিরামপুর ও বরকাশিয়া গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই বিরোধ। ধীরে ধীরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

দফায় দফায় সংঘর্ষে মোহনগঞ্জ পাইলট স্কুলের মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় দুই গ্রামেরই প্রায় অর্ধশত দোকান ভাঙচুর করা হয়। আহত হন ৩০-৪০ জন।

খবর পেয়ে পুলিশ এলেও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির জন্য সংঘর্ষের এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। পরে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন চৌধুরী জানান, অসুস্থ থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিও বলেন, ‘আমরা সংঘর্ষস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিস্তারিত বলা যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন