অনলাইন ডেস্ক:
নেত্রকোনার মদনে যাত্রা দেখতে গিয়ে চেয়ারে বসা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জুয়েল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাশরি গ্রামে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৮ জনকে ময়মনসিংহে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নিহত জুয়েল ওই গ্রামের সুলতু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাশরি গ্রামে রাতে অনুষ্ঠিত যাত্রা পালা দেখতে চেয়ারে বসা নিয়ে বিরোধ বাধে একই গ্রামের সাবেক সিদ্দিক মেম্বার ও মিলন মাস্টার গ্রুপের মধ্যে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে তর্ক বিতর্ক হয়। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। সাবেক ইউপি মেম্বার নজরুল মিয়ার বাড়িতে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনা নিয়ে কাইটাইল বাজারে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সালিশ করে মীমাংসার কথা থাকলেও সালিশ শেষ হওয়ার আগেই পূর্বের রেশ ধরে বাশরি গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্য থেকে ৯ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। তার মধ্যে সিদ্দিক মেম্বার গ্রুপের জুয়েল মিয়া নামের এক যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতের ভাই যুবায়েদ জুয়েলের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পরে এই খবরে মিলন মাস্টার গ্রুপের একজনকে মদন হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আটক করে পুলিশ।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, আরও তিনজনকে নজরবন্দিতে রাখা হয়েছে হাসপাতালেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান জানান, একজনকে ময়মনসিংহ নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দিলে দ্রুত সকল আসামিকে ধরা হবে।