রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসন থেকে ৭ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে জাকের পার্টির ৫ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র রয়েছেন ২ জন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, যশোর-১ (শার্শা) আসনে মো. সবুর খান, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে, মো. সাফারুজ্জামান, যশোর-৩ (সদর) আসনে মো. মহিদুল ইসলাম, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে লিটন মোল্যা, যশোর-৫ (মণিরামপুর ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাবলু, হুমায়ুন সুলতান, যশোর -৬ (কেশবপুর) আসনে মো. সাইদুজ্জামান।
যশোর-৩ আসনের প্রার্থী মহিদুল ইসলাম বলেন, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনেই জাকের পার্টি প্রার্থী দিয়েছিলো। যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান মনোনয়ন যাচাই বাছাই বাতিল হয়ে যান। বাকী ৫ আসনের প্রার্থীরা আজ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।এ সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়েছি। তাদের ভোটের কোন আগ্রহ নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আমজাদ হোসেন লাবলু বলেন, নির্বাচন করতে মনোনয়ন দাখিল করেছিলাম। তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে এখন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
হুমায়ূন সুলতান বলেন, আমার পিতা খান টিপু সুলতান আওয়ামী লীগের পাঁচবারের এমপি ছিলেন। দলীয় নেত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ দেয়ায় আমি মনোনয়ন কিনেছিলাম। কিন্তু নৌকার বিপক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে ইতস্ত বোধ করেছি। এজন্য আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আবরাউল হাছান মজুমদার জানান, ৩৮ জনের মধ্যে আজ ৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বৈধ ৩১ প্রার্থীর মধ্যে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।