মোংলা প্রতিনিধি :
মোংলা বন্দরে চলমান ইনার বারে (হারবাড়িয়া-জেটি) ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। ৭৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পটি বন্ধে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে এমনকি তারা সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে বলেও জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। ওই মহলকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে তদন্তের সার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হবেনা বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২২ আগষ্ট) বেলা ১১ টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের প্রবেশ পথ হারবাড়িয়া থেকে জেটি (ইনারবার) পর্যন্ত নাব্যতা বাড়াতে ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নেয় তারা। এটি করা হলে মোংলা বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে নয় দশমিক ৫০ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। কিন্তু গত ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারী শুরু হওয়া এই ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করতে একটি মহল নানা রকম অপচেষ্টা করে যাচ্ছে বলে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান।
বন্দরের এই পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ইনারবারে ড্রেজিং করা বালু বা মাটি ফেলতে পশুর নদীর তীরবর্তী বানিশান্তা এলাকার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৮৫ একর দুই ফসলী এবং ১১৫ একর এক ফসলী। সেখানে তিন ফসলী কোন জমি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্ষতি পূরণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মহল ওইসব জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে ওই ‘তিন ফসলী জমি’ উল্লেখ করে ড্রেজিং করার বালু বা মাটি ফেলতে বাধা দিচ্ছেন।
ষড়যন্ত্রকারীদের এসব অপতৎপরতা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবেনা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের উন্নয়নের অংশ মোংলা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সিভিল ও হাইড্রলিক্স বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শেখ শওকত আলী, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব কালাচাঁদ সিংহসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ।