হোম অন্যান্যসারাদেশ মোংলায় ১০ কিলোমিটারে যত ভোগান্তি

মোংলায় ১০ কিলোমিটারে যত ভোগান্তি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 112 ভিউজ
সোহাগ মোল্লা , মোংলা :
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে মোংলা-খুলনা
মহাসড়ক। খানা খন্দে ভরা এ সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে
চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভূক্তভোগিরা। তারা সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য
কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের দ্বিতীয় মোংলা সমুন্দ্র বন্দর। এ বন্দরে
আমদানী-রপ্তানী পন্য সহ স্থানীয় ভাবে গড়ে ওঠা উদপাদনমুখী ভারি শিল্প
প্রতিষ্ঠানের স্থলপথে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম
মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। মহাসড়কটির বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫ কিলোমিটার এবং  সড়ক ও
জনপথ বিভাগের ৫ কিলোমিটার। এই  ১০ কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দে পরিনত হওয়ায়
নানা দূর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার পন্যবাহী সহ সকর প্রকার যানবাহন ও
পথচারিরা।
এ সড়কে চলাচলকারী গাড়ি চালক বেলায়েত হোসেন, মুরাদ ও সাদ্দাম হোসেন বলেন,
একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। ভারি যানবাহন চলাচল করায় সড়কের
সংস্কার কাজ বেশিদিন টেকে না। এতে নানা ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে
গাড়ি চাকা ও যন্ত্রাংশ। যানবাহনের চালকরা আরও বলেন, নিয়মিত গতানুগতিক
মেরামত কাজ চললেও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ফের ভেঙে যায় ।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, আমরা বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে
এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। কিন্তু সড়কটির অবস্থা খুবই
করুণ। সড়কটি ব্যবহারে আমাদের যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি অর্থও। তাই
কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করবো দ্রæত এ সড়কটি যেন মেরামত করা হয়।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওসার বাংলা
ট্রিবিউনকে বলেন, অত্যাধিক ওভার লোড সড়কটি ২২ফুট চওড়া ও সরু থাকায় এক
লেনে গাড়ি চলে একারনে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্ষার কারণে
বিটুমিনের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সোলিং এইচ বি বি’র কাজ (ইটের সোলিং)
চলছে।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন বাংলা
ট্রিবিউনকে বলেন, খুলনা-মোংলা জাতীয় মহাসড়কের বাগেরহাটের দৈর্ঘ্য ৩০ কিলো
৫৫০ মিটার। এরমধ্যে বেলাই ব্রীজ থেকে দিগরাজ বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার
সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বিটুমিন দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রধান বা  অন্যতম কারণ
হচ্ছে ওভারলোড। এছাড়া ১৯৮৪ সালে সড়কটি নির্মাণ কাজ হওয়ার পর থেকে
অদ্যাবদি পুনরায় নির্মাণ এবং প্রশস্থকরণ করা হয়নি।  বর্তমানে সড়কটিতে
যানবাহন চলাচলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আমরা এই
রুটিন মেইন্টেনেন্সের আওতায় এর কাজ করনো।
এ ছাড়া চলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে একটি
প্রস্তবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।
তিনি আরও বলেন, বন্দর এলাকার আওতাধীন বাসস্ট্যান্ড থেকে দিগরাজ পর্যন্ত
মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার সংস্কার কাজ ও  দেখভাল কর্তৃপক্ষ করে থাকে। তবে
সড়কের বর্তমান যে বেহালদশা তার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ খুব বেশি দায়ী নয়,
বন্দর এলাকায় গড়ে ওঠা ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহনের জন্য সড়কের
ধারনক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও যানবাহন চলা করায় সড়কটি
সংস্কার করলেও দূর্ভোগ লাগব হচ্ছে না। এ ছাড়া পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা
না থাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে বলে জানান
বন্দর চেয়ারম্যান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন