জসিম উদ্দিন:
ঈদ উৎসবের তৃতীয় দিন, মোংলা শহরের আলীয়া মাদ্রাসা চত্বরে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের সাক্ষী হলেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। সোমবার দুপুরে সেখানে মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় ঈদের ভোজসভা। এতে অংশ নেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
ঈদ উৎসবের তৃতীয় দিন, মোংলা শহরের আলীয়া মাদ্রাসা চত্বরে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের সাক্ষী হলেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। সোমবার দুপুরে সেখানে মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় ঈদের ভোজসভা। এতে অংশ নেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ভিড়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ। কারও কাঁধে রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, কেউ আবার সদ্য যুক্ত হওয়া কর্মী। ঈদের খুশিকে ভাগাভাগি করতে জড়ো হন সবাই। দলীয় আবরণ ছাপিয়ে এই আয়োজন রূপ নেয় এক আন্তরিক মিলনমেলায়।
ভোজের আয়োজনে ছিল কোরবানির মাংস দিয়ে তৈরি নানা পদের খাবার। তবে অংশগ্রহণকারীদের ভাষ্য, মেন্যুর চেয়েও বড় উপাদান ছিল আন্তরিকতা। পুরো আয়োজনটির দেখভাল করেন জুলফিকার আলী নিজেই। অতিথিদের স্বাগত জানানো থেকে খাবার পরিবেশনার সবখানেই ছিল তাঁর সরাসরি নজরদারি। জুলফিকার আলী বলেন,”এই কর্মীরাই বিএনপির রাজনীতির ভিত্তি। ঈদ উপলক্ষে সবাই একসাথে বসে খাওয়ার সুযোগ আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের।যেটি আমরা ১৭ বছর ধরে করতে পারিনি।
একজন প্রবীণ কর্মী বলেন,”আজকের দিনটি শুধু খাওয়ার ছিল না, ভালোবাসা পাওয়ারও ছিল। রাজনীতির ভেতর এমন মানবিক সম্পর্ক এখন বিরল হয়ে উঠেছে। অনেকেই এলেন বহুদিন পর। কেউ আবার সঙ্গে করে নিয়ে এলেন নতুন প্রজন্মের কর্মীদের। নানা বয়স ও অভিজ্ঞতার মানুষ একসঙ্গে বসে খেয়েছেন, গল্প করেছেন, ভাগাভাগি করেছেন স্মৃতি আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। অনেকের কাছে এই ভোজ ছিল পারিবারিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা।
ঈদের সময় রাজনীতি সাধারণত ছায়ায় থাকে। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী আয়োজন রাজনীতিরই আরেকটি দিক তুলে ধরেছে সহমর্মিতা, ত্যাগ আর ভালোবাসা। কোরবানির মর্মবাণীকে ধারণ করে এই আয়োজন শুধু উদরপূর্তির জন্য ছিল না, ছিল হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো একটি মুহূর্ত।