মোংলা প্রতিনিধি:
মোংলা প্রত্যন্ত পল্লী বাঁশতলা এলাকায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের (মেম্বর) বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যার পর সশস্ত্র একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই ইউপি সদস্যকে বাড়ি না পেয়ে তাঁর স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী ও শিশু সন্তান ও গৃহ পরিচালিকাকে প্রায় আধা ঘন্টা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ২ নং বাঁশতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহাদুজ্জামান খাঁন ওরফে আহাদুল গত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি বাড়িতে নিয়মিত রাত্রীযাপন বন্ধ করে দেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সংসদ নির্বাচনের সময়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়া প্রতিপক্ষরা ইউপি সদস্য আহাদুজ্জামানের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের জোর করে নিজেদের দখলে নেয়ার জন্য নানা তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরই জের ধরে সোমবার মাগরিবের নামাজের পর প্রতিপক্ষ স্থানীয় মাসুদ শেখ ওরফে কুতুবের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত লাটি সোটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আহাদুজ্জামানের বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আহাদুজ্জামান বাড়িতে না থাকায় দুর্বৃত্তরা তার বিল্ডিং এর বিভিন্ন জানালার কাঁচ ও টাইালস ভেঙ্গে ফেলেন। এক পর্যায়ে রান্না ঘরে থাকা ইউপি সদস্যের স্ত্রী উত্তর বাঁশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার (৩৫) ও তার ১০ বছরের পুত্র ও ২ বছরের কণ্যা সন্তানসহ বাড়ির গৃহ পরিচালিকা (৫০)কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন মালামাল লুটপাট ও কিছু আসবাব পত্র ভাংচুর করে। ঘটনার এক পর্যায়ে স্থানীয় এসে পড়লে দুর্বৃত্তরা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ শেখ ওরফে কুতুবের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে মোংলা থানার ওসি মোঃ আনিসুর রহমান জানান, বাঁশতলা এলাকায় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।