জাতীয় ডেস্ক:
মেট্রোরেলে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
রোববার (২৮ জুলাই) মেট্রোরেলের কাজিপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন হারুন।
ডিবিপ্রধান বলেন, মেট্রোরেলে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। গ্রেপ্তারের পর তিনি জানিয়েছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং সাইফুল ইসাম নিরবের নির্দেশে এবং নাহিদুজ্জামান শ্রাবণ এবং গণেষ রায়ের কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। এ কাজে জড়িত ছিল চার-পাঁচজনের একটি দল। তারা অন্য ছাত্রদের উসকে দিয়ে মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
হারুন অর রশীদ জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কোটা আন্দোলনে ভর করে নাশকতা চালায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে গ্রেপ্তারকৃতরা বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে নাশকতাকারীরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে। মেট্রোরেলে সহিসংতার ঘটনার সঙ্গে অনেকের নাম পেয়েছি। নেতৃত্ব দেওয়াদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও নাম ও নাম্বার আমাদের কাছে আছে। তারা কোথায় আছেন, তাদেরে সন্ধানে ডিবির টিম কাজ করছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন ছাত্রদলের নেতা দাবি করে হারুন অর রশীদ বলেন, এরা হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বিজয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সহসভাপতি ফেরদৌস রুবেল।
হামলাকারীরা লুকিয়ে থেকে পার পাবে না। তাদেরকে ডিবি খুঁজছে। প্রত্যেককে গর্ত থেকে খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করব না, যোগ করেন ডিবির হারুন।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, অপরাধ তদন্তের পাশাপাশি কেউ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে তাকেও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।