হোম জাতীয় মেঘনায় চর দখলকে কেন্দ্র করে বসতঘরে আগুন, আহত ১০

জাতীয় ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর দখলকে কেন্দ্র করে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চরমেঘাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, গরুসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- একই এলাকার হাবিল মাঝি, ঝুনু আক্তার, জোহরা বেগম, খালেদা বেগমসহ ১০ জন।

চরের বাসিন্দারা জানান, সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরমেঘাতে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। চরের জমিতে কৃষিকাজ ও গবাদিপশু পালন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে ভোলার একদল ভূমিদস্যু ওই চর দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ নিয়ে ওই দস্যু বাহিনীর সঙ্গে চরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় দুই বছর আগে চরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে দুপক্ষের দুজনের প্রাণহানিও ঘটে। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুর এবং ভোলার আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে।

চরের বাসিন্দারা আরও জানান, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে চর দখল নিতে শনিবার গভীর রাতে অর্ধশতাধিক দস্যু এসে সাতটি বাড়িঘরে আগুন দেয়। এতে তিনটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে যায়। আগুন দেয়ার আগে দস্যু বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক লুটপাট করে এবং ৯টি গরু চুরি করে।

ক্ষতিগ্রস্ত নিজাম মাতাব্বর, শাহ সর্দার ও মুসলিম জানান, ভোলার দস্যু মিন্টা খাঁর নেতৃত্বে তাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালানো হয়। এতে তারা গৃহহীন হয়ে গেছেন। এর আগেও চর দখল নিতে দস্যু বাহিনীর সদস্যরা রাকিব নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন জানান, নদীতে জেগে ওঠা চর নিয়ে দু’পক্ষ মালিকানা দাবি করেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হামলা ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। ভোলার জেলার পক্ষ জামিনে বেরিয়ে গত রাতে নৌকা করে এসে চরের বাসিন্দাদের ঘরে আগুন দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছে।

ভুক্তভোগী পক্ষকে মামলা করার জন্য থানায় আসতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন