হোম জাতীয় মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা, হামলায় আহত ১০

জাতীয় ডেস্ক:

নরসিংদীতে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। এসময় স্থানীয়দের তিনটি নৌকা ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), মগল মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের ছেলে মিজান মিয়া (৩০), মানিক মিয়ার ছেলে মান্নান (২৮), লিয়াকত আলীর ছেলে সেলিম হোসেন (৪২), সাজু মিয়ার ছেলে রিফাত হোসেন (১৬) ও রতন মিয়াসহ (৪৮) আরও কয়েকজন।

চাঁনপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মিয়া জানান, চাঁনপুর গ্রামের বালুদস্যু সুলতান মিয়া, কালিকাপুর গ্রামের বাবুল মিয়া, পাশের নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও এলাকার হোসেন মিয়া ও আফজালের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে বোরো ধানের জমিসহ বাড়িঘর বিলীন হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। নিয়মিতভাবে এসব বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বালুদস্যু ও তাদের পালিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রায়পুরা, ভৈরবসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় এলাকাবাসীর বেশ কয়েকটি নৌকা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার জানান, মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করলে গত ১৮ অক্টোবর মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও হিজির হায়াতের ২৭ নম্বর বেঞ্চ বালু উত্তোলন বন্ধে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসী বাধা দিলে ১০ থেকে ১৫ জনকে তারা হামলা করে আহত করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত বালু উত্তোলনকারী বাবুল মিয়া ও সুলতান মিয়ার ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেননি তারা।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আরিফ রব্বানী বলেন, ঘটনাটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত শেষে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন