হোম অন্যান্যসারাদেশ মুসলমানের চিহ্ন থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো— নাহিদ

মুসলমানের চিহ্ন থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো— নাহিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 54 ভিউজ
খাদেমুল ইসলাম ফরহাদ:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের সময়ে আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দাড়ি-টুপি পড়া থাকলে বা মুসলমানের চিহ্ন থাকলে তাদেরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। হিজাব নেকাব পড়া থাকলে তাদেরকে ছাত্রী সংস্থার ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। এই ট্যাগের রাজনীতি থেকে আমরা বের হতে চাই। কোন ধরনের ট্যাগিং যাতে না চলে, রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে যাতে কাউকে হেনস্তা করা না হয় এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয় চাই।’
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা ও ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট সহ কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র সংসদের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের অনেক আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা বিভিন্ন সময় বলে আসছি ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কার্যকর হয়নি। আমরা আজকে এই জায়গা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।
এই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের সেই নেতৃত্বের বিকাশের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। নিজের মত প্রকাশের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার এবং অধিকারের জন্য আপনারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরব হন, আপনাদের দাবির সাথে আমরা আছি।
তিনি আরও বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করা হতো। তাদেরকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে চাকরি থেকে বাতিল করা হতো। আগামীর বাংলাদেশে এরকম কোন বৈষম্য দেখতে চাই না।
ইবি শিক্ষার্থীদের বিদ্রোহের কথা লেখা থাকবে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে। আমরা যখন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই আমরা ভুলে যাই যে আমরা রাজনৈতিক দল। মনে হয় আমরা আপনাদের সাথেই সেই সহযোদ্ধা। আমরাও ছাত্র, আমরাও শিখতেছি।
নাহিদ বলেন, আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল আকাশ চুম্বি এবং এখনো তা আছে। আমরা গণঅভ্যুত্থানকে স্রেফ একটা রেজিম চেঞ্জ হিসেবে দেখি না। মানুষের জীবনের পরিবর্তন আনবে গণঅভ্যুত্থান, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার আনবে। গণঅভ্যুত্থানের প্রধানতম লেজিটেমিসি হচ্ছে ছাত্ররা। বাংলাদেশের যেই প্রান্তে যাবেন এটা বলা হবে যে, এটা ছাত্রদল আন্দোলন ছাত্ররা রেজিম চেইঞ্জ করেছে। ফলে ছাত্রদের উপর মানুষের যে আস্থা, ইতিহাসে বারবার জনগণ এই আস্থা রেখেছে। ছাত্রদের সেই আস্থার জায়গাটা ধরে রাখতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন